এভাবে আসা যাক উৎপাদন সম্পর্কে সাধারণত ভালো মানের স্পূন থেকে গ্রীষ্মকালে প্রতি আড়াই মাসে ৯০ থেকে ১০০ গ্রাম মাশরুম পাওয়া সম্ভব। শীত ও বর্ষাকালে মাশরুম উৎপাদন অধিক পরিমাণে হয়ে থাকে এ সময় একটি ভালো মানের স্পূন থেকে প্রতি আড়াই মাসে ২০০-২৫০ গ্রাম মাশরুম উৎপাদন করা যায়। ১০-১২ টাকা মূল্যের এই স্পূনগুলো প্রতি আড়াই মাস পর পর পরিবর্তন করতে হয়। বাংলাদেশের অনেক এলাকায়ই বর্তমানে মাশরুম চাষ করা হয়। এগুলোর মধ্যে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহীসহ সারাদেশেই বর্তমানে মাশরুম চাষ করা হচ্ছে। ঢাকা শহরে বিভিন্ন এলাকায় যেমন গোড়ান, কোর্ট কাচারি এলাকা, রামপুরা, বনশ্রী, সাভার, টঙ্গীতে অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে মাশরুম চাষ করছে।
সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৫ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
খাওয়ার উপযোগী মাশরুম উৎপন্ন হতে ৫ বা ৬ দিন সময় লাগবে। পরবর্তীতে খাবার উপযোগী মাশরুম উৎপন্ন হলে গোড়া থেকে তা তুলে নিতে হবে।
মাশরুম চাষের প্রয়োজনীয় উপকরণঃ মাশরুম চাষ করতে সাধারণত বীজ বা স্পন প্যাকেট, ধানের খড়, পাতলা পলিথিন ব্যাগ, ঝুলন শিকা বা বাঁশ, ছিদ্রযুক্ত কালো পলিথিন সিট, ঘরের উষ্ণতা ও আদ্রর্তা পরিমাপের জন্য হাইগ্রোমিটার, ঘরের উষ্ণতা ও আদ্রর্তা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য হ্যান্ড স্প্রেয়ার, জীবাণুনাশক, ব্লেড বা ছোট ছুরি, বালতি এবং অন্যান্য আনুষাঙ্গিক উপকরণ দরকার হয়ে থাকে।
এই জাতের মাশরুম সবচেয়ে বেশি চাষ হচ্ছে। সারাবছরই এই মাশরুম চাষ করা যায় তবে শীত ও বর্ষাকালে এর ভালো ফলন হয়ে থাকে। অয়েস্টার বা ঝিনুক মাশরুম খুব অল্প জায়গার সহজেই চাষ করা যায়।
>> যে ঘরে বা স্থানে মাশরুম চাষ করা হবে সে জায়গা ভালোভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে মেঝেতে পলিথিন বিছিয়ে দিন।
আপনার চাষ করা মাশরুম কোনো ভালো জায়গায় বিক্রি করার জন্য দুটি বিষয় মনে রাখতে হবে। একটি হলো মাশরুমের ভালো মান এবং অন্যটি হলো মাশরুমের উৎপাদনের পরিমাণ।আপনার চাষ করা মাশরুম এর যদি ভালো মানের হয় ভালো দাম পাবেন।
খাদ্য হিসেবে মাশরুম অতুলনীয়। এটি হাই প্রোটিনযুক্ত একটি খাবার। এই খাবারটি হজমও হয় খুব তাড়াতাড়ি। মাশরুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। প্রাচীনকাল থেকেই এটি পুষ্টিসমৃদ্ধ, সুস্বাদু ও দামী খাবার হিসেবে বিবেচিত। মাশরুমে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামাইনো এসিড, অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
▶️ ডাউনলোডঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান pdf
এটি এক ধরনের ছত্রাক ও খুবই সুস্বাদু একটি খাবার। মাশরুম অনেক ধরনের থাকলে ও সব ধরনের জাতের মাশরুম খাওয়া যায় না।
মাশরুম চাষ পদ্ধতি: মাশরুম চাষ করতে গেলে সর্বপ্রথম সঠিক কর্মপরিকল্পনা করা প্রয়োজন। সঠিকভাবে কাজ পরিচালনা করার জন্য হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ নেওয়া জরুরি। কিছু লোক একত্রে মিলেমিশে মাশরুম চাষ করলে দ্রুত লাভবান হওয়া সম্ভব। ঘরে বসে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা মূলধন নিয়ে প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করা যায়। গ্রাম বা শহরের বেকার যুবকরা এই মাশরুম চাষ করে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারেন। পুরুষের পাশাপাশি মহিলারাও ঘরে বসে অল্প মূলধনে মাশরুম চাষ শুরু করতে পারেন। মাশরুম চাষ করার জন্য আলোহীন স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ প্রয়োজন, তবে খেয়াল রাখতে হবে ঘরে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছাতে পারে, শহর ও গ্রামে সব জায়গায় মাশরুম চাষ করা সম্ভব। স্পূনগুলোকে রাখার জন্য ছোট ছোট মাচা ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো হতে পারে লোহা, বাঁশ কিংবা কাঠের। অতিরিক্ত গরম মাশরুম চাষের জন্য প্রতিকূল; এজন্য প্রয়োজন হলে ফ্যান ব্যবহার করা যেতে পারে। পাশাপাশি মাশরুম চাষের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি প্রয়োজন। হ্যান্ড স্প্রে মেশিনের সাহায্যে স্পূনগুলোতে নিয়মিত পানি দিয়ে স্যাঁতসেঁতে করে রাখতে হবে।
মাশরুম চাষ করতে বীজ, ধানের খড়, পাতলা পলিথিন ব্যাগ, ঝুলন- শিকা বা বাঁশ, ছিদ্রযুক্ত কালো পলিথিন সিট, ঘরের উষ্ণতা ও আদ্রর্তা পরিমাপের জন্য হাইগ্রোমিটার, ঘরের উষ্ণতা ও আদ্রর্তা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য হ্যান্ড সপ্রেয়ার, জীবাণুনাশক, ব্লেড বা ছোট ছুরি, বালতি, আনুসাঙ্গিক অন্যান্য উপকরণ।
মাশরুমের বৃদ্ধির জন্য সারের প্রয়োজন হয় না।
বাংলাদেশে সহজেই বিভিন্ন প্রকার মাশরুম চাষ করা যায়। ঋতুভেদে উপযুক্ত মাশরুম চাষ করলে উচ্চমূল্যের এবং ব্যয়বহুল here শীতলীকরণ যন্ত্র ব্যবহারের দরকার হয় না। ওয়েস্টার ও কান মাশরুম সারাবছরই চাষ করা যায়। যদিও পিংক ও পিও-১০ ওয়েস্টার ছাড়া সব ওয়েস্টারের ফলন গরমকালে একটু কমে যায়। গ্রীষ্মকালে মিল্কি, স্ট্র ও ঋষি মাশরুম এবং শীতকালে শীতাকে ও বাটন মাশরুম চাষ করা যায়।